ছবি : তানভীর আহমেদ নাছিম
প্রেমিকা কে হত্যা করে নিজেই আত্মহত্যা
রাউজান উপজেলায় প্রেমিক যুগলের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার রাতে পাহাড়তলী ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের মহামুনি গ্রামের একটি বাড়ি থেকে লাশগুলো উদ্ধার করা হয়। ময়নাতদন্তের জন্য সোমবার চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল মর্গে লাশগুলো পাঠানো হয়েছে।
রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল্লাহ আল হারুন জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা হচ্ছে-প্রেমিকা অন্বেষা চৌধুরী আশামনিকে (১৯) ছুরিকাঘাতে হত্যার পর প্রেমিক জয় বড়ুয়া (২৬) আত্মহত্যা করেছেন। প্রেমিকাকে খুন করার পর প্রেমিক সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেছেন। প্রেমিকা আশামনি মহামুনি গ্রামের রণজিৎ চৌধুরী বাবলুর মেয়ে এবং প্রেমিক জয় বড়ুয়া একই গ্রামের নিলেন্দু বড়ুয়া নিলুর ছেলে।
স্থানীয় সংরক্ষিত ইউপি সদস্য অর্পিতা মুৎসুদ্দি মুন্নি বলেন, খবর পেয়ে রাত সাড়ে ৯টার দিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি লাশ দুটি পড়ে আছে।
বাবা বাবলু জানান, রোববার বিকাল ৫টার দিকে টিউশনি করতে আশামনি ঘর থেকে বের হয়। আগামী ১০ মার্চ তার বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। এজন্য তাকেসহ তারা পথেরহাট থেকে বিয়ের বাজারও করেছেন। জয়ের ছোট বোন জানান, রাত সাড়ে ৮টার দিকে ঘরে চেঁচামেচির শব্দ শুনে দাদাকে ডাকাডাকি করি। কিছুক্ষণ পর কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে দাদার বন্ধু অর্ক দাদাকে ফোন করে ডেকে আনি। এরপর ঘরের দরজা ভেঙে দেখি আশামনি দিদি নিচে পড়ে আছেন আর জয় দাদা ফ্যানের সঙ্গে ঝুলছেন। তৎক্ষণাৎ দা দিয়ে ফাঁস কেটে দাদাকে নামিয়ে দেখি দাদা আর নেই। অর্ক মুৎসুদ্দি জুয়েল জানান, ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে দুজনের প্রেমের সম্পর্ক। জয় সড়কের পাশে চায়ের দোকান করতেন। তিনি আরও জানান, রাঙ্গুনিয়ার এক ফ্রান্স প্রবাসীর সঙ্গে আশামনির বিয়ে হওয়ার কথা ছিল।
চট্টগ্রামের সহকারী পুলিশ সুপার (রাঙ্গুনিয়া সার্কেল) আনোয়ার হোসেন, রাউজান থানার ওসি আব্দুল আল হারুন, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রোকন উদ্দিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
0 মন্তব্যসমূহ