Header Ads Widget

Responsive Advertisement

নতুন সিইসি ‘কট্টর আওয়ামী লীগার’: রিজভী

 

নতুন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালকে ‘কট্টর আওয়ামী লীগার’ বলেছেন বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভী।


নতুন নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব নেওয়ার দিন সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব।


তিনি বলেন, “বিনা ভোটে ক্ষমতায় থাকার জন্য নিশিরাতের আওয়ামী সরকার আবারও তাদের একান্ত অনুগত ও আওয়ামী ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষিত দলীয় আমলাদের দিয়ে তথাকথিত নির্বাচন কমিশন সাজিয়েছে।


“চরম বিতর্কিত সাবেক আমলা কাজী হাবিবুল আউয়াল শেখ হাসিনার বড় পছন্দের। যখনই কোনো সাংবিধানিক পদে নিয়োগের সময় এসেছে, প্রতিটা ক্ষেত্রেই কাজী হাবিবুল আউয়ালকে তিনি বিবেচনা করেছেন। কারণ একটাই- হাবিবুল আউয়াল একজন কট্টর আওয়ামী লীগার।”


ইসি নিয়োগে নতুন আইন হওয়ার পর তার আওতায় সার্চ কমিটি গঠনের পর কমিটির সুপারিশে সিইসি হিসেবে সাবেক সচিব কাজী হাবিবুল আউয়ালকে নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি।


একই প্রক্রিয়ায় নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন সাবেক জ্যেষ্ঠ সচিব মো. আলমগীর ও আনিছুর রহমান, অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ রাশেদা সুলতানা এমিলি এবং অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহসান হাবীব খান।

নতুন নির্বাচন কমিশন নিয়ে বিএনপির ‘আগ্রহ নেই’ বলে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এর আগে বলে আসছিলেন।


আইন সচিব পদে কাজী হাবিবুল আউয়ালের নিয়োগের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতের রায়ের প্রসঙ্গ টেনে রিজভী বলেন, “উনি আইন মন্ত্রণালয়ের লিগ্যাল অ্যান্ড ড্রাফটিং শাখার অতিরিক্ত সচিব ছিলেন। এটি প্রশাসনিক ক্যাডারের একটি পদ। ওই পদ থেকে আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব পদে নিয়োগ পাওয়ার নিয়ম না থাকলেও শেখ হাসিনার বিশেষ অনুগ্রহে সেটি লাভ করেছিলেন তিনি।


“আইন সচিবের পদটি বিচার বিভাগীয় পদ। এই কারণে পদোন্নতি বিধিমালা-২০০২ অনুযায়ী হাই কোর্ট বিভাগ ও আপিল বিভাগ তার নিয়োগ অবৈধ বলে রায় দেয়।”


নতুন সিইসি সম্পর্কে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব বলেন, “যিনি কর্মজীবনে আইন মানেননি, সর্বোচ্চ আদালতের উভয় বিভাগ থেকেই যার কর্মজীবন অবৈধ ঘোষণা হয়েছে। যিনি বিচারকদের পুলিশ দিয়ে লাঞ্ছিত করেছেন, যিনি সংসদীয় কমিটির কাছে দায় স্বীকার করে ক্ষমা চেয়ে পরিত্রাণ পেয়েছেন, যিনি অবৈধ নিয়োগের পরও একের পর এক মন্ত্রণালয়ের সচিব হয়েছেন, বিশেষ ব্যবস্থায় পিআরএল বাতিল করে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব হয়েছেন, তিনি কতখানি এই সরকারের আপনজন হতে পারেন, এই তথ্যগুলো সেটি প্রমাণ করে।”


রিজভী বলেন, “আমরা আগেই বলেছিলাম, নির্বাচন কমিশন কাদের দিয়ে করবে, সেই বিশ্বস্ত তালিকা চূড়ান্ত করে রেখেছিলেন শেখ হাসিনা। সার্চ কমিটি ছিল একটা আইওয়াশ মাত্র। কাজেই আওয়ামী-বাকশালীদের সিইসি ও ইসি নিয়োগ করা আরেক নীলনকশার নির্বাচন বাস্তবায়নের জন্য।”

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ