উত্তর : শিরক হচ্ছে অংশীদার স্থাপন। ইসলামের পরিভাষায় কোরআন সুন্নাহতে আল্লাহর যে সমস্ত নাম ও গুণাবলি উল্লিখিত হয়েছে সেগুলোকে অবিশ্বাস করা, যে সব কাজের জন্য (ইবাদত ও আমল) আল্লাহ বান্দাদের সৃষ্টি করেছেন তাতে তার একত্ববাদ প্রতিষ্ঠিত করা থেকে বিরত থাকাকে শিরক বলে।
শিরকের প্রকার
১. শিরকে আকবর : সরাসরি আল্লাহর সঙ্গে কাউকে শরিক করা, যেমন- কাউকে ইবাদতমূলক আহ্বান করা। আল্লাহ ব্যতীত অন্যের নামে পশু জবাই বা কোরবানি করা, কল্যাণ ও অকল্যাণের মালিক জানা ও মানা।
২. শিরকে আসগার : শিরকে আকবর নয় এমন যেসব কর্মকে শরিয়তে সুস্পষ্ট প্রমাণ দ্বারা শিরক বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে সেগুলোই শিরকে আসগার। শিরকে আসগর হলো এমন সব কথা বা কাজ বাহ্যিকভাবে গাইরুল্লাহকে আল্লাহতায়ালার সঙ্গে সমান করে নেওয়া।
শিরকের পরিণতি
এ শিরক সম্পাদনকারী সম্পূর্ণরূপে ইসলাম থেকে বাতিল হয়ে যাবে। কারণ তা সরাসরি কুফরির নামান্তর। ফলে তার কোনো নেক আমল কাজে আসে না বরং সবই বিফলে যাবে।
0 মন্তব্যসমূহ